নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীর থেকে অল্প পরিমাণ ঘাম হওয়া একটি স্বাভাবিক দৈহিক ক্রিয়া। আর এ ভ্যাপসা গরমে তো কথাই নেই। এসি বা ফ্যান না থাকলে সবাইকে ঘেমে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও এই ঘাম যদি অধিক পরিমাণে দেখা দেয় বা তা থেকে যদি দুর্গন্ধ নির্গত হয়, তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। শরীরের কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা গোটা শরীর এরকম হঠাৎ ঘেমে উঠতে পারে।
ঘর্মরোধ: ঘাম না হওয়াকেই ঘর্মরোধ বলা হয়। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন- জন্মগতভাবে যদি ঘর্মগ্রন্থি অনুপস্থিত থাকে কিংবা স্নায়ুতন্ত্র আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অনুভূতি ক্ষমতা কমে যায় অথবা কোনো বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহারে ঘর্মগ্রন্থি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে লোমকূপের মধ্যে অধিক পরিমাণে ময়লা জমলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। বগলে পচা মাছের দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম হয়।
চিকিৎসা: ২০ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড টিংচার সপ্তাহে তিনবার প্লাস্টিক গল্গভসের মাধ্যমে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঘুম ও দুশ্চিন্তানাশক ওষুধের সঙ্গে প্রবানথিন ব্যবহারেও ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেক সময় আয়ানটোফোরোসিস বা ইনজেকশন বোটক্স দেওয়া হয়। তবে এ প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল। এই রোগের আজ পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চিকিৎসা বের হয়নি।
বগল ছাড়াও শীতে পায়ে হতে পারে। ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া মিশে ঘাম হয়। সাবান ও অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড আক্রান্ত জায়গায় লাগানো যায়। এ ছাড়া পটাশও বালতির পানিতে ২-৩ ফোঁটা মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট পা চুবিয়ে রাখা যায়।